মহান আল-কোরআনের বাণী –
অর্থঃ “ পড়ুন তুমি তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টি জগৎকে ” ( পারা – ৩০, সূরা আলাক্ব, আয়াত নং -০১ ) । সহজ -সরল সঠিক পথের সন্ধান দানের জন্য আল্লাহ তা’য়ালা যুগে যুগে নবী-রাসূলগন প্রতিটি কওমের নিকট পাছিয়েছিলেন এবং সাথে দিয়েছিলেন ছহীফা ও আসমানী কিতাবসমূহ । সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব হচ্ছে – “ আল – কোরআন ” । আর আল কোরআনের মর্ম উদঘাটনের জন্য প্রয়োজন আল – হাদিস । আল কোরআন নাজিলের পর ইসলামী শরীয়ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য রাসূল (সাঃ) সাহাবী হজরত আরকান (রাঃ) এর বাড়িতে প্রথমতঃ গোপনে গোপনে ইসলামী শিক্ষা দান করতেন । পরবর্তিতে মসজিদে নববীর বারান্দায় দ্বীনি তালিম দেওয়া হতো আজও মক্তবের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে । দ্বীনি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্য গড়ে উঠে মাদ্রাসা । এরই ধারাবাহিকতা স্বরুপ গড়ে উঠে এই এলাকায় – “ ফতেপুর বাবুল উলূম দাখিল মাদ্রাসা ” ১৯৫৭ সালে। এই এলাকার ধর্মপ্রান, দ্বীনদার, পরহেজগার ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । বছরের পর বছর বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বহু বাধা – বিপদ ডিঙ্গিয়ে মদীনার এই কাফেলাটি চলছে । যাদের অক্রান্ত পরিশ্রমের ফসল এই মাদ্রাসা আমার তাদের গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি, স্মরন করি এবং রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি । মাদ্রাসার কথা ভাবতেই তাদের ছবি আমাদের হৃদয়ে ভেসে উঠে । বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী তান্ডবে মাদ্রাসার কাঁচা ঘর লন্ডভন্ড হয়ে যেত । ঝড় – তোফান চলে যাওয়ার পর হাতুড়ি, বাটাইল, লোহা, তার, সূতলি, বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে আসতেন তাদের প্রানের চেয়ে ও প্রিয় মাদ্রাসা ঘর মেরামতের জন্য । আজ তারা নেই এই সুন্দর পৃথিবীতে কিন্তু তাদের কর্ম বেচে আছে এবং আমাদের বিবেককে নাড়া দেয় প্রতিনিয়ত । আল্লাহ এর বিনিময়ে তাদেরকে ‘জান্নাতুল ফেরদাউস’ যেন দান করেন । আমীন ।
অর্থঃ “ পড়ুন তুমি তোমার প্রভুর নামে যিনি সৃষ্টি করেছেন সৃষ্টি জগৎকে ” ( পারা – ৩০, সূরা আলাক্ব, আয়াত নং -০১ ) । সহজ -সরল সঠিক পথের সন্ধান দানের জন্য আল্লাহ তা’য়ালা যুগে যুগে নবী-রাসূলগন প্রতিটি কওমের নিকট পাছিয়েছিলেন এবং সাথে দিয়েছিলেন ছহীফা ও আসমানী কিতাবসমূহ । সর্বশ্রেষ্ঠ আসমানী কিতাব হচ্ছে – “ আল – কোরআন ” । আর আল কোরআনের মর্ম উদঘাটনের জন্য প্রয়োজন আল – হাদিস । আল কোরআন নাজিলের পর ইসলামী শরীয়ত শিক্ষা দেওয়ার জন্য রাসূল (সাঃ) সাহাবী হজরত আরকান (রাঃ) এর বাড়িতে প্রথমতঃ গোপনে গোপনে ইসলামী শিক্ষা দান করতেন । পরবর্তিতে মসজিদে নববীর বারান্দায় দ্বীনি তালিম দেওয়া হতো আজও মক্তবের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে । দ্বীনি কার্যক্রম ব্যাপকভাবে শিক্ষা দেওয়ার জন্য গড়ে উঠে মাদ্রাসা । এরই ধারাবাহিকতা স্বরুপ গড়ে উঠে এই এলাকায় – “ ফতেপুর বাবুল উলূম দাখিল মাদ্রাসা ” ১৯৫৭ সালে। এই এলাকার ধর্মপ্রান, দ্বীনদার, পরহেজগার ব্যক্তিদের সাহায্য সহযোগীতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান । বছরের পর বছর বহু চড়াই উৎরাই পেরিয়ে বহু বাধা – বিপদ ডিঙ্গিয়ে মদীনার এই কাফেলাটি চলছে । যাদের অক্রান্ত পরিশ্রমের ফসল এই মাদ্রাসা আমার তাদের গভীরভাবে শ্রদ্ধা করি, স্মরন করি এবং রুহের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি । মাদ্রাসার কথা ভাবতেই তাদের ছবি আমাদের হৃদয়ে ভেসে উঠে । বৈশাখ মাসে কালবৈশাখী তান্ডবে মাদ্রাসার কাঁচা ঘর লন্ডভন্ড হয়ে যেত । ঝড় – তোফান চলে যাওয়ার পর হাতুড়ি, বাটাইল, লোহা, তার, সূতলি, বাঁশ ইত্যাদি নিয়ে আসতেন তাদের প্রানের চেয়ে ও প্রিয় মাদ্রাসা ঘর মেরামতের জন্য । আজ তারা নেই এই সুন্দর পৃথিবীতে কিন্তু তাদের কর্ম বেচে আছে এবং আমাদের বিবেককে নাড়া দেয় প্রতিনিয়ত । আল্লাহ এর বিনিময়ে তাদেরকে ‘জান্নাতুল ফেরদাউস’ যেন দান করেন । আমীন ।
হাটি হাটি পা-পা করে মাদ্রাসাটি চলছে । বিভিন্ন অভাব – অনটনের পরও নবির বাগানের খাদেমগণ জান প্রান উজার করে মাদ্রাসায় খেদমত করে গেছেন । আমরা সেই সমস্ত আসাতাজায়ে কেরাদেরকে স্মরন করি এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি । আল্লাহ্ এর বিনিময়ে তাদেরকে ‘ জান্নাতুর ফেরদাউস’ যেন দান করেন । – আমীন ।
ফতেপুর বাবুল উলূম দাখিল মাদ্রাসাটি একাডেমিক অনুমতি লাভ করে ১৯৮৫ সালে । মাদ্রাসার ব্যানারে দাখিল পরীক্ষার হয় ১৯৯১ ইং সাল থেকে । M.P.O ভূক্তি হয় ১৯৯৩ ইং । ইবতেদায়ী ১ম শ্রেণীর হইতে দাখিল দশম শ্রেণী পর্যন্ত সর্বমোট ছাত্র – ছাত্রী সংখ্যা ৩৬৪ জন । ইবতেদায়ী সমাপনী পরিক্ষা, দাখিল ৮ম শ্রেণী J.D.C পরিক্ষা এবং দাখিল চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে কৃতিত্বের স্বাক্ষর রাখছে ।
২০১৫ ইং সালে দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহন করে শতভাগ উর্ত্তীন হওয়ার গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের অন্তর্ভূক্ত সেকায়েফ প্রকল্প হইতে মৌলভীবাজার জেলার সদর উপজেলার শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান হিসাবে নির্বাচিত হয়ে নগদ এক লক্ষ টাকা পুরুষ্কার পেয়েছে । এই কৃতিত্বের অংশীদার ছাত্র – ছাত্রী , শিক্ষকমন্ডলি , পরিচালনা কমিটি , অভিভাবকবৃন্দ এবং এলাকাবাসী । মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটি এবং, শিক্ষকবৃন্দের আন্তরিকতা দিন দিন মাদ্রাসা কার্যক্রম সুদৃঢ় , সুন্দর, সুচারুরূপে পরিচালিত হচ্ছে ।
হিসাব নিকাশঃ-
সরকারী বিধি মোতাবেক প্রতি তিন মাস অন্তর অন্তর আভ্যন্তরীন কমিটি দ্বারা নিরীক্ষিত হয়ে পরিচালনা কমিটির সভায় উপস্থাপনের পর অনুমোদন দান করা হয় ।আর্থিক স্বচ্ছতা এবং জবাব্দিহিতা নিশ্চিত করা হয় । নিয়মিত পরিচালনা কমিটির সভা আহবান করা হয় ।
পরিকল্পনা – ভিশন ২০৩০ ইংঃ-
দাখিল স্তর পর্যন্ত শক্তিশালী করন এবং আলিম শ্রেণীতে উন্নতি করনের লক্ষ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে প্রতিটি শ্রেণী কক্ষ ৫০ জন ছাত্র – ছাত্রীর বসার উপযোগী করে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টসহ-
১০টি শ্রেণী কক্ষ তৈরী –
১টি মেয়েদের কমন রুম
১ টি মেয়েদের ওয়াশরুম
১টি ছেলেদের ওয়াসরুম
১ টি লাইব্রেরী কক্ষ
১টি সভা কক্ষ
১টি সুপার কক্ষ
১টি সহ – সুপার কক্ষ
১টি শিকক্ষ মিলনায়তন
১টি নামাজের কক্ষ
১টি কম্পিউটার ল্যাব রুম
১টি বোর্ডিং
কম্পিউটার ও বিজ্ঞান শাখা খোলার পরিকল্পনাধীন ।
নারীর ক্ষমতায়নঃ বর্তমানে এই তথ্য প্রযুক্তির যুগে দেশ ও জাতির উন্নয়নের জন্য নারীদেরকে ও মূল্যায়ন করতে হয় । নারীদের জন্য আবশ্যক শিক্ষা এর কোন বিকল্প নেই । নারীদের ক্ষমতায়ন ও নারীদের শিক্ষা উন্নয়নের আমাদের মাদ্রাসা বিশেষ ভমিকা রাখছে রাখছে । ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীদের সংখ্যা, উপস্থিতি, সকল বিষয়ে অংশগ্রহন এবং ফলাফল অনেক অনেক ভাল ।
এলাকার আর্থিক সহায়তায় ৪০ হাত দীর্ঘ একটি ‘দ্বীতল একাডেমিক ভবন ’ ( মাদ্রাসার দক্ষিন দিকে ) সম্পন্ন হয়েছে । মাদ্রাসার উত্তরদিকে ‘৫ম তলা বিশিষ্ট প্রশাসনিক ভবন তৈরীর কাজ শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে অনুমোদন প্রাপ্ত । আমাদের এই মাদ্রাসাটি অত্র এলাকার একটি ঐতিহ্য, একটি ইতিহাস, একটি প্রাণ, একটি জান্নাতী বাগান , নাজাতের একটি উছিলা । আপনাদের ছেলে- মেয়েদেরকে ভর্তি করুন । কোরআন – হাদীস পড়ান । ইসলামী শিক্ষার পাশাপাশি জাগতিক শিক্ষাও দেওয়া হয় । মাদ্রাসায় পড়ে শুধুমাত্র মিয়াসাব নয়; বরং এখন ডাক্তার , ইঞ্জিনিয়ার , ব্যারিষ্টার , শিক্ষাবিদ ইত্যাদি হওয়া যায় । দাখিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে যে কোন কলেজ বা বিশ্ব-বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া যায় ।
পারফর্মেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইন্সটিটিউশন্স (PBGSI) স্কিম; সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (SEDP) মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর , শিক্ষা মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ, ঢাকা হইতে ফতেপুর বাবুল উলুম দাখিল মাদ্রাসাকে নগদ ৫ লক্ষ টাকার অনুদান দিয়েছেন ।
বিত্তশালীদের কাছে আহবান
মাদ্রাসায় অনেক অভাব – অনটন রয়েছে । অত্র এলাকার বিত্তশালী ব্যক্তিবর্গ সহযোগিতার হাত বাড়ান । আপনাদের দানের ফলে গরীব, অসহায় , নিঃস্ব, মেধাবী ছাত্র -ছাত্রীবৃন্দ উপকৃত হবে ইনশাল্লাহ্ । ভিশন -২০২১ বাস্তবায়নের জন্য পরিকল্পনার পাশাপাশি টাকার প্রয়োজন। মাদ্রাসা সঞ্চয়ী একাউন্ট এবং F.D.R ৫০ লক্ষ টাকায় উন্নতী করনের জন্য আপনাদের সাহায্য একান্ত প্রযোজন ।
অভিভাবকদের প্রতি অনুরোধ –
সম্মানীত অভিভাবকদের কাছে আমাদের অনুরোধ – আপনারা প্রতি সাপ্তাহে মাদ্রাসায় এসে আপনারা শিক্ষার্থীর খোঁজ – খবর নিবেন । যথাসময়ে মাদ্রাসার অভিভাবক মিটিং – এ অংশগ্রহন করবেন । দয়া করে মাসিক বেতন এবং অন্যান্য ফি যথাসময়ে পরিশোধ করবেন । আপনার পরামর্শ আমাদের গতিকে আরও বেগমান করবে ।
আমরা যাদেরকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছিঃ-
- ভূমিদাতা –
-
- ( প্রতিষ্ঠাতা ) মরহুম মোঃ মনির মিয়া ( আঃ মতিন ) নাসিরপুর ,
- মরহুম মোঃ নজির উল্যা, নাসিরপুর
- শেখ মোঃ কামাল হুসেন, ফতেপুর
-
- সাবেক সভাপতি মোঃ ফুলরী মিয়া,ফতেপুর (চেয়ারম্যান ১নং খলিলিপুর ইউনিয়ন পরিষদ )
- উস্তাদ বৃন্দ
- মরহুম মাওঃ মোঃ ইালয়াছ আলী, সুপার, অত্র মাদ্রাসা
- মরহুম মাওঃ মোঃ ছানা উল্লাহ , সুপার, অত্র মাদ্রাসা
- মরহুম মাওঃ মোঃ রহমত উল্লাহ
- মরহুম মাওঃ মোঃ হুসাইন আহমদ
- মরহুম মাওঃ মোঃ শফিকুর রহমান , সহকারী – মৌলভী, অত্র মাদ্রাসা
আজীবন দাতা সদস্যঃ-
- জনাবা রোকেয়া খাতুন , নাসির পুর ।
- জনাব মোঃ সাজন মিয়া , ফতেপুর।
- জনাব মোঃ ফরহাদ মিয়া , ফতেপুর ।
পরিশেষে কথা:-
নবীজীর বাগান এই দ্বীনি প্রতিষ্ঠান “ ফতেপুর বাবুল উলূম দাখিল মাদ্রাসা ” আপনার / আমার সবার ।
এই প্রতিষ্ঠানের উন্নতি ও অগ্রগতির জন্য জন্য সর্বাত্মক সাহায্য সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন ! জান্নাতী এই বাগানকে সত্যিকার জান্নাতি বাগানে পরিনতি করি ।
মহান আল্লাহ পাকের কাছে আমাদের এই আকুল আবেদন – আমীন ।